মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
মেয়ের প্রতিবন্ধি কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারদের দরজায় ঘুরছেন প্রতিবন্ধি ফারহানা জান্নাত তানিয়ার মা-বাবা। তাদের প্রশ্ন, আর কত দরজায় গেলে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাবেন তাদের একমাত্র প্রতিবন্ধি মেয়ে ফারহানা জান্নাত তানিয়া ? আর কতবার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তালিকায় নাম উঠালেই বা শেষ হবে তাদের দরজায় কড়া নাড়া। গত সাত বছর ধরেই তানিয়ার বাবা-মা কার্ডের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অথচ এখনো প্রতিবন্ধি কার্ড জোটেনি তানিয়ার কপালে। ফারহানা জান্নাত তানিয়া ((১১) চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রোস্তম আলী ও সেলিনা বেগমের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জন্ম থেকেই কানে শুনে না, কথা বলতে পারে না শিশু ফারহানা জান্নাত তানিয়া। তারপর থেকে সাধ্য অনুযায়ী এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে চিকিৎসা করেও কোন ফল পায়নি তার বাবা-মা। উন্নত চিকিৎসা দিলে হয়ত আজ প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত না। কিন্তু চাল কলের একজন সামান্য শ্রমিক বাবার ভিটেমাটির সামান্য চার শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নেই।

প্রতিবন্ধি ফারহানা জান্নাত তানিয়ার মা সেলিনা বেগম বলেন, জন্মের পর থেকেই তানিয়া কানে শুনতে পায় না ও কথা বলতে পারেনা। দিনমজুর পিতার সামর্থ্য যা ছিল, সব শেষ হয়ে গেছে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে। এই অভাবের সংসারে ৩ ছেলে মেয়ের লেখাপড়াসহ ভরণ পোষণ চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এখন অভাব অনটনেই আমাদের দিন কাটে।

এ বিষয়ে বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতলব বলেন, চাহিদার তুলনায় সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে প্রতিবন্ধি নামের সংখ্যা অনেক কম চাওয়া হয়। তাই এতদিন তানিয়ার নাম দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার প্রতিবন্ধিদের তালিকা চাওয়া হলে ফারহানা জান্নাত তানিয়ার নাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্তি করা হবে। এদিকে চকরিয়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দ্রুত তানিয়াকে প্রতিবন্ধি কার্ড প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।